রিয়াদ হাসান: [২] বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, জনগণের ভোটে তারা (আওয়ামী লীগ) নির্বাচিত হলে প্রথম আমি অভিনন্দন জানাবো। না হলে এবার জুজুর ভয় দেখিয়ে এই সরকারের কোনো লাভ হবে না। সুতরাং ২০১৪ সাল আর ২০২৪ সাল কিন্তু এক না। জনগণের শক্তির কাছে কামান বা বুলেট কিছুই টেকে না। বিশ্বে এমন অসংখ্য নজির রয়েছে। এবার সরকারের শেষ রক্ষা হবে না। এই সরকারের ওপর জনগণের আস্থা নেই।

[৩] শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) আয়োজিত ‘মহান বিজয় দিবস, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের আকাক্সক্ষা ও বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। 

[৪] ড. মঈন খান বলেন, এই সরকারের মিথ্যাচার তারা নিজেরাই বিশ্বাস করে না। তারা মনে করছে ক্ষমতায় যেহেতু আছে নির্বাচনের দরকার কী? কোনো সরকার গণতন্ত্রের ভান ধরলে সেই সরকার স্বৈরাচারের চেয়েও বেশি ভয়ংকর হয়ে ওঠে। 

[৫] তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের মানুষ কখনোই স্বৈরশাসককে মানেনি। যার প্রমাণ ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ। তখন কিন্তু দেশের জনগণ পাকিস্তানি স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে ও গণতন্ত্রের দাবিতে জীবন দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন করেছে। আমরা আন্দোলনের মাধ্যমেই সরকারের পতন ঘটাবো ইনশাআল্লাহ।

[৬] বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এই সরকার কী ভোট করছে? এটা তো বানরের পিঠা ভাগাভাগির মতো। ল্যাংড়া কানা খোড়া নিয়ে নির্বাচনের আয়োজন করছে সরকার। তারা নিজেরা নিজেরা লাইনে দাড়িয়ে জটলা পাকিয়ে দেখাবে নির্বাচনে ভোট গ্রহণ চলছে।

[৭] ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের সঙ্গে আমাদের বর্তমান বাংলাদেশের কোনো মিল নেই। শুধু সরকারের লোকেরা কথা বলবেন। আর কারও কথা বলার সুযোগ নেই। এটাকে বলা যায় বাকশাল-২। ফ্যাসিবাদ পরাজিত হবে ইনশাআল্লাহ।

[৮] অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, আওয়ামী লীগ নিজেরা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। এখনো সুষ্ঠু নির্বাচন দিলে ১০টি আসনও পাবে না আওয়ামী লীগ। 

[৯] ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব ডা. মো. আবদুস সালামের সার্বিক তত্বাবধানে এবং সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ডা. মো. মেহেদী হাসানের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য দেন বিএমএর সাবেক সভাপতি একেএম আজিজুল হক, এসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ-এ্যাবর সভাপতি প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, ড্যাবের ডা. এম এ সেলিম, ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফর রহমান, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের (জেডআরএফ) প্রকৌশলী মাহবুব আলম প্রমুখ। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না